ইকমার্স

 ইকমার্স

অর্থনীতির ভাষায় যাহার বিনিময় মুল্য আছে , তাকে পণ্য বলে এই পণ্য আবার দুই ধরনের

) দৃশ্যমান পণ্য

) অদৃশ্যমান পণ্য

দৃশ্যমান পণ্যকে আমরা বস্তু বলছি অদৃশ্যমান পণ্যকে  সেবা বলা হয়। এই সেবার যখন আমরা মুল্য নির্ধারিত করি , তখন হয়ে যায় শ্রম

এই দুই ধরনের পণ্যই সনাতন নিয়মে বেচাকেনা হয়। অর্থাৎ কেউ পণ্য কেনে , কেউ বিক্রী করে। আবার কেউ শ্রম কেনে , আবার কেউ শ্রম বিক্রী করে। সাধারণত এগুলো একটি স্থায়ী দোকান বা অস্থায়ী ( হাট/বাজার ) দোকানের মাধ্যমে , পেপার পত্রিকায়  বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে  , বিলবোর্ডের দৃশ্যমান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে  , ওয়াল ফেস্টুনে বা হ্যান্ড লিফলেটের  মাধ্যমে প্রচার করে আমরা শ্রম বা পন্য আদান প্রদান করি এই পদ্ধতিকে  অফলাইন ব্যবসা বা সনাতন ব্যবসায়িক পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। 

বর্তমানে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম ব্যবসা করাকেই কমার্স বলে। এটা অনলাইনে মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের পন্য বিক্রি হতে পারে যেমন ধরুন কেউ ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে তার পেজ খুলে অনলাইনে কোন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে এটা এক ধরনের -কমার্স ব্যবসা। ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা এটাও -কমার্স। এই কমার্স ব্যবসার মাধ্যম হিসাবে হোয়াটসআপ , ইমেইল , ইউটিউব ইত্যাদি সংযুক্ত হয়েছে  

এখন আমাদের দেখতে হবে ইকমার্স ব্যবসা করতে গেলে আমাদের কারো সাহায্য নিতে হবে অর্থাৎ ব্যবসা করতে গেলে প্রয়োজন মানুষ যাকে আমরা কাষ্টমার বলি  , তারপর কাষ্টমারের চাহিদা , সেই হিসাবে পন্য সিলেকশান , সেই পন্য ছবির মাধ্যমে বা লেখার মাধ্যমে কাষ্টমারের কাছে যোগাযোগের ঠিকানা সহ  উপস্থাপন , যাকে আমরা কন্টেন্ট বলি সেই কন্টেন্ট প্রেজেন্টেশানের জন্য যে মাধ্যম আমরা ব্যবহার করি তাকে আমরা সার্চ ইঞ্জিন বলি। মানুষ দুটো কারনে কম্পিউটার /মোবাইলের  সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আসে। প্রথমত বিনোদন দ্বিতীয়ত কোন কিছু জানতে আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চায় জানাতে। আমাদের জগতে এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো হলো গুগল , ইয়াহো , বিং , ইউটিউব , ফায়ার ফক্স , সাফারি , ওপেরা ইত্যাদি।

 

এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতে পারে , আমরা একে মেশিন না বলে ইঞ্জিন কেনো বলছি ?

আমি এখানে বেশী ডিটেলসে যাবোনা শুধু এইটুকু বলব , মেশিন অপেক্ষা ইঞ্জিন অনেক বেশী স্বয়ংক্রিয়

 এখন আমরা আসি সোশ্যাল মিডিয়া কি ?

 সোশ্যাল মিডিয়া কী? একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বইয়ের ভাষায়যেসব ওয়েবসাইট অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে, তাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া। 

সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাসঃ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্মের গল্প যদি খোঁজা হয়, তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৮৪৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে, যেদিন স্যামুয়েল মোর্স বাল্টিমোর থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর প্রথম টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন। কিছু ডট ড্যাশের মাধ্যমে তিনি সেদিন লিখেছেন ঈশ্বর কী করেছেন সেই প্রথম টেলিগ্রামের পরের প্রায় ১৮০ বছর যোগাযোগমাধ্যমে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। সারা দুনিয়াকে মানুষ নিয়ে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মাঝে। 

এই সোসাল মিডিয়ার মধ্যে বর্তমানে পরছে

ফেসবুক , ইন্সট্রোগ্রাম , হোয়াটসআপ , পিন্টারেস্ট , টিকটক , টেলিগ্রাম , ট্রেডস্  ইত্যাদি।

আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব , এই ইকমার্স ব্যবসা আমরা কি ভাবে করব ? 

কি ভাবে কন্টেন্ট লিখব ? 

কি ভাবে ছবি আলটাটেক্সট করে সাইজ মত পোষ্ট করব ?

এলিভেটর স্পিস কি ?কেনো ব্যবহার করব ?

কেন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করব ?

পোষ্ট করার সময় স্থান উল্লেখ করা উচিত কি না ?

ইত্যাদি ইত্যাদি ।

সৌজন্যে সুতী বস্ত্র সম্ভার ।

সুতী বস্ত্র সম্ভার সম্পর্কে জানতে নীচে ক্লিক করুন ।



Comments

Popular posts from this blog